ঢাকা,সোমবার, ৬ মে ২০২৪

ঘাতক মোর্শেদ আটক

 চকরিয়ায় গৃহবধু জেসমিনকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা

 

এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে জেসমিন আক্তার (৩৬) নামে গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনাটি নতুন মোড় নিয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, এটি আত্মহত্যা নয়, বালিশ চাপা দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে নিহতের ছোট ভাই সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন।

ওই মামলায় মোর্শেদ আলমের নাম উল্লেখ্যপূর্বক ২-৩জনকে অজ্ঞাত দেখানো হয়েছে। মামলা রুজু করার রাতেই পুলিশ মোর্শেদ আলমকে (৪৮) তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে। মোর্শেদ হারবাং ইউনিয়নের কিল্লার পূর্ব পাড়ার কালু সওদাগরের ছেলে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৭টার দিকে মোয়াজ্জেমের ভাড়া বাসা থেকে জেসমিনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় তার স্বামী মোয়াজ্জেম হোসেন ঢাকায় ছিলেন।

জানা যায়, গৃহবধূ জেসমিন ও মোয়াজ্জেমের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। জেসমিনের আগের সংসারে একটি শিশু সন্তান রয়েছে। সে তার বাবার সাথে থাকে। অপরদিকে মোয়াজ্জেমেরও প্রথম স্ত্রী রয়েছে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মোর্শেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। সে বলেছে, আত্মহত্যার বিষয়টি সঠিক নয়, গৃহবধূ জেসমিন আক্তারকে বালিশ চাপা দিয়ে শ^াসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর তার লাশ ঘরের চালার সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়।

তিনি বলেন, গৃহবধূর স্বামী মোয়াজ্জেম ঢাকায় গার্মেন্টেসে চাকুরির সুবাদে জেসমিনের ঘরে যাতায়াত ছিল মোর্শেদের। এতে তাদের মধ্যে সখ্যতাও গড়ে উঠে। মোর্শেদ ও মোয়াজ্জেম সম্পর্কে মামাতো ভাই। কী কারণে গৃহবধুকে হত্যা করেছে, সেই রহস্য উৎঘাটনে মোর্শেদকে আদালতে উপস্থাপন করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে।

স্থানীয় লোকজন দাবি করেন, মোর্শেদ প্রায়সময় জেসমিনের ঘরে যাতায়াত করলেও ঘটনারদিন সন্ধ্যার দিকে যান। ওইসময় আশপাশের বাড়ি-ঘরে লোকজন থাকায় মোর্শেদকে শাররীক সর্ম্পক করতে সুযোগ দেয়নি জেসমিন। এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে এমন ধারণা করছেন এলাকাবাসি। ##

 

পাঠকের মতামত: